মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:৩২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:

বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশের সবগুলো বিভাগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা কলেজপর্যায়ে সংবাদদাতা/প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা অনলাইন সংবাদ প্রকাশনার সাথে সংবাদ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতে ইচ্ছুক তারাই কেবল এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। আগ্রহী দক্ষ সংবাদ প্রতিনিধিদের আমাদের কাছে -মেইল মারফত সিভি জমা দিতে হবে। www.dainikcrimesin@gmail.com আপনার সিভি জমা দেয়ার পর থেকে প্রতিনিধি বাচাই কার্যক্রমে নিয়োজিত টিম আপনাদের সিভি পর্যালোচনা করে -মেইল মারফত বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনাদের জানাবে সংবাদ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতে পারবে কি না। মোবাইল: ০১৭১১-০০৭২৭২

ব্রেকিং নিউজ :
মাধবপুরে ক্ষতিকারক কীটনাশক এর ওপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান । দৈনিক ক্রাইমসিন সিলেট বিভাগের বর্ষসেরা ! সাংবাদিক মৌলভীবাজারে ইকবাল হোসেন রিংকু । দৈনিক ক্রাইমসিন বেজুড়া মারকাযুল কোরআন মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ পাগড়ি প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টান । দৈনিক ক্রাইমসিন মাধবপুরে ! জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন।দৈনিক ক্রাইমসিন মাধবপুরে ! ভারতীয় চোরাই পণ্য উদ্ধার: গ্রেফতার ১।দৈনিক ক্রাইমসিন মাধবপুরে !গলায় ফাঁস দিয়ে চা শ্রমিকের আত্মহত্যা।,দৈনিক ক্রাইমসিন মাধবপুরে ! ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ ঝড়ল অটোরিকশা যাত্রীর । দৈনিক ক্রাইমসিন মাধবপুরে দেশ রূপান্তরের প্রতিষ্টাবার্ষিকী পালিত । দৈনিক ক্রাইমসিন মাধবপুরে ফেনসিডিল #পাচারকালে নারী আটক। দৈনিক ক্রাইমসিন হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির। দৈনিক ক্রাইমসিন

জানুয়ারি মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ৬৫০ দুর্ঘটনায় নিহত ৬৪২ । দৈনিক ক্রাইমসিন

ক্রাইমসিন নিউজ ডেক্স :

নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে,সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬৫০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত ও ৯৭৮ জন আহত হয়েছেন। সংগঠনটির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ২১৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৪ টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৩ টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, ১ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়াও মোট দুর্ঘটনার মধ্যে পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনাই ৫১.৬০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, বিগত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে বিদায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫.৩ শতাংশ বেড়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়েছে ১০.০৪ শতাংশ। তবে প্রাণহানী ৪.৬ শতাংশ কমেছে। সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, ৫ জন সাংবাদিক, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন আইনজীবী ও ৩ জন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় মোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে ২৭.৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১২.৫ শতাংশ বাস, ২৪.৭৫ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫.০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫.৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ১৪.৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯.৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১.৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২.৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া, বিবিধ কারণে ১১.৯৭ শতাংশ, ০.৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং ১.০১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯.৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪.৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.০১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বিদায়ী মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ১৭ জানুয়ারি, এই দিনে ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ২ জানুয়ারি। এই দিনে ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এই দিনে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৫ জানুয়ারি। এই দিনে ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, বিপজ্জনক অভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা, ছোট যানবাহন ক্রমশ বৃদ্ধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা মহাসড়কে নেমে আসা, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি ও রাস্তার পাশে হাট-বাজারও বাড়িয়েছে দুর্ঘটনার পরিমাণ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত